বোলিং-ব্যাটিং কিংবা ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই দাপট দেখিয়ে সাসেক্সকে ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে হারানোয় সন্তুষ্ট বাংলাদেশ। আর সেই সন্তুষ্টি নিয়েই সাসেক্সে ১০
দিনব্যাপী কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষ করল বাংলাদেশ।
আজ রাতেই বাংলাদেশের আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে পৌঁছে যাওয়ার কথা। সেখান থেকে দল যাবে ডাবলিনে দলের সঙ্গেই সেখানে যাবেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। আর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সরাসরি আয়ারল্যান্ডে যোগ দেবেন দলের সঙ্গেকন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই ছিল বাংলাদেশর প্রধান চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ যে উতরে গেছে তার প্রমাণ প্রস্তুতি ম্যাচের ফলাফল। মানছেন দলের সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসেল। তিনি বলেন, ‘কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়াই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। এখানে অনেক ঠান্ডা। দলের অনেকেই এমন আবহাওয়ায় আগে কখনো খেলেনি। সামনেই ত্রিদেশীয় সিরিজ। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এখানকার অনুশীলন, আর প্রস্তুতি ম্যাচ ওখানে আমাদের কাজে দেবে। ’
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন ইমরুল-সাব্বির-মিরাজরা। এরপর পর বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন বোলাররা। দলও পেয়েছে বিশাল জয়। দ্বিতীয় এবং শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে সাসেক্সকে ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার হোভের সেন্ট্রাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজের হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩১৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৮০ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় সাসেক্সের ইনিংস।
৩১৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে ভালোই জবাব দিচ্ছিল সাসেক্স। ২৩ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলে নেয় তারা। এর পরই দৃশ্যপট পাল্টে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন বাংলাদেশি বোলাররা। বাংলাদেশের বোলিং তোপে মুহূর্তেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে সাসেক্স।
ছয় ওভারে ৩১ রান খরচায় তিন উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুটি করে উইকেট নেন শুভাশিষ রায় ও তাসকিন আহমেদ। এ ছাড়া সৌম্য সরকার, সানজামুল ইসলাম ও সাব্বির রহমান নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
সাসেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে ওপেনার রবসনের ব্যাট থেকে। ব্যক্তিগত ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন জেনার। এদিন অবশ্য সাসেক্সের জার্সিতে খেলেছেন বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শফিউল ইসলাম। ৩২ রান করে তাসকিনের বলে সোহানের তালুবন্দী হন মাহমুদউল্লাহ। শেষ দিকে শফিউলের ব্যাট থেকে ১৩ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যক্তিগত ছয় রানে ফিরে যান সৌম্য সরকার। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমান। ৭৮ বলে ১২ চার এবং এক ছয়ে ৯২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন ইমরুল। ৫৫ বলে সাত চার ও এক ছয়ে ৫২ রান এসেছে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট সাব্বিরের ব্যাট থেকে।
নিজের জাত চিনিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। ডানহাতি এই অলরাউন্ডারকে আউটই করতে পারেননি সাসেক্সের বোলাররা। দলকে ৩১৪ রানে পৌঁছে দেওয়ার পথে ৫৫ বলের মোকাবিলায় চার চার ও তিন ছয়ে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন অভিষেক টেস্টেই হইচই ফেলে দেওয়া মিরাজ। ইমরুল-সাব্বির-মিরাজের দিনে রানের দেখা পেয়েছেন অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা মুশফিকুর রহিমও। ডিউক অব নরফোকের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে অপরাজিত ১৩৪ রান করা মুশফিক এই ম্যাচে করেছেন ৪০ রান।
শুধু সাসেক্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলাও নয়, সাসেক্সের মাঠে অনুশীলন থেকে শুরু করে, তাদের ইনডোরে অনুশীলনও করার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবটির আতিথেয়তায় মুগ্ধ বাংলাদেশ।
রিচার্ড হ্যালসেল বলেন, ‘এখানে ১০ দিন হলো আছি। সাসেক্স আমাদের একটা ম্যাচ খেলারও সুযোগ দিয়েছে। ওদের ক্রিকেট কাঠামোর সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা পেয়েছি। ওদের বড় একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য। ’
ত্রিদেশীয় সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে গেল ২৭ এপ্রিল থেকে সাসেক্সে ১০ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। সেটা শেষ করে দলটির গন্তব্য এখন আয়ারল্যান্ড। সেখানে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগেও একটা প্রস্তুতি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের।
ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে আয়ারল্যান্ড থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আবারো ইংল্যান্ড আসবে মাশরাফি বাহিনী। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ
দিনব্যাপী কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষ করল বাংলাদেশ।
আজ রাতেই বাংলাদেশের আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে পৌঁছে যাওয়ার কথা। সেখান থেকে দল যাবে ডাবলিনে দলের সঙ্গেই সেখানে যাবেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। আর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সরাসরি আয়ারল্যান্ডে যোগ দেবেন দলের সঙ্গেকন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই ছিল বাংলাদেশর প্রধান চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ যে উতরে গেছে তার প্রমাণ প্রস্তুতি ম্যাচের ফলাফল। মানছেন দলের সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসেল। তিনি বলেন, ‘কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়াই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। এখানে অনেক ঠান্ডা। দলের অনেকেই এমন আবহাওয়ায় আগে কখনো খেলেনি। সামনেই ত্রিদেশীয় সিরিজ। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এখানকার অনুশীলন, আর প্রস্তুতি ম্যাচ ওখানে আমাদের কাজে দেবে। ’
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন ইমরুল-সাব্বির-মিরাজরা। এরপর পর বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন বোলাররা। দলও পেয়েছে বিশাল জয়। দ্বিতীয় এবং শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে সাসেক্সকে ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার হোভের সেন্ট্রাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজের হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩১৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৮০ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় সাসেক্সের ইনিংস।
৩১৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে ভালোই জবাব দিচ্ছিল সাসেক্স। ২৩ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলে নেয় তারা। এর পরই দৃশ্যপট পাল্টে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন বাংলাদেশি বোলাররা। বাংলাদেশের বোলিং তোপে মুহূর্তেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে সাসেক্স।
ছয় ওভারে ৩১ রান খরচায় তিন উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুটি করে উইকেট নেন শুভাশিষ রায় ও তাসকিন আহমেদ। এ ছাড়া সৌম্য সরকার, সানজামুল ইসলাম ও সাব্বির রহমান নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
সাসেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে ওপেনার রবসনের ব্যাট থেকে। ব্যক্তিগত ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন জেনার। এদিন অবশ্য সাসেক্সের জার্সিতে খেলেছেন বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শফিউল ইসলাম। ৩২ রান করে তাসকিনের বলে সোহানের তালুবন্দী হন মাহমুদউল্লাহ। শেষ দিকে শফিউলের ব্যাট থেকে ১৩ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যক্তিগত ছয় রানে ফিরে যান সৌম্য সরকার। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমান। ৭৮ বলে ১২ চার এবং এক ছয়ে ৯২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন ইমরুল। ৫৫ বলে সাত চার ও এক ছয়ে ৫২ রান এসেছে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট সাব্বিরের ব্যাট থেকে।
নিজের জাত চিনিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। ডানহাতি এই অলরাউন্ডারকে আউটই করতে পারেননি সাসেক্সের বোলাররা। দলকে ৩১৪ রানে পৌঁছে দেওয়ার পথে ৫৫ বলের মোকাবিলায় চার চার ও তিন ছয়ে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন অভিষেক টেস্টেই হইচই ফেলে দেওয়া মিরাজ। ইমরুল-সাব্বির-মিরাজের দিনে রানের দেখা পেয়েছেন অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা মুশফিকুর রহিমও। ডিউক অব নরফোকের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে অপরাজিত ১৩৪ রান করা মুশফিক এই ম্যাচে করেছেন ৪০ রান।
শুধু সাসেক্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলাও নয়, সাসেক্সের মাঠে অনুশীলন থেকে শুরু করে, তাদের ইনডোরে অনুশীলনও করার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবটির আতিথেয়তায় মুগ্ধ বাংলাদেশ।
রিচার্ড হ্যালসেল বলেন, ‘এখানে ১০ দিন হলো আছি। সাসেক্স আমাদের একটা ম্যাচ খেলারও সুযোগ দিয়েছে। ওদের ক্রিকেট কাঠামোর সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা পেয়েছি। ওদের বড় একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য। ’
ত্রিদেশীয় সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে গেল ২৭ এপ্রিল থেকে সাসেক্সে ১০ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। সেটা শেষ করে দলটির গন্তব্য এখন আয়ারল্যান্ড। সেখানে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগেও একটা প্রস্তুতি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের।
ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে আয়ারল্যান্ড থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আবারো ইংল্যান্ড আসবে মাশরাফি বাহিনী। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ
0 Comment "দাপট দেখিয়েই কন্ডিশনিং ক্যাম্পের ইতি"
Post a Comment