ফেরাটা সাকিবের মত হোল না

দুর্দান্ত ফর্মে থেকেই কেকেআর শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে শেষ টি-টুয়েন্টিতে ব্যাটে-বলে জ্বলে ম্যাচ সেরা হওয়ার টাটকা স্মৃতি সঙ্গী ছিল। এরপর একাদশে সুযোগ
পাওয়ার অপেক্ষা। ষষ্ঠ ম্যাচে এসে যখন সুযোগটা মিলল, তাতে কোন কিছুই সাকিব আল হাসানের মত হল না। ব্যাটে বড় কিছু করার সুযোগ ছিল না, পরে বল হাতে থাকলেন খরুচে হয়ে, কলকাতাকেও ম্যাচটা জিততে দেখা হল না। শুক্রবার গুজরাটের কাছে ৪ উইকেটে হেরে বসেছে নাইটরা।ইডেন গার্ডেন্সে শুরুতে ব্যাট করে বড় সংগ্রহই গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৭। কিন্তু গুজরাট লায়ন্সের জবাবটা হল আরো দমদার। ৬ উইকেট হারিয়ে ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে তারা।

কেকেআর ওপেনিংয়ে আবারো সুনীল নারিন চমক রেখেছিল। কাজেও দিয়েছিল সেটি। ৯ চার ও ১ ছয়ে ১৭ বলে ৪২ নারিনের। সঙ্গে অধিনায়ক গৌতম গাম্ভীরের ৩৩, মনিষ পান্ডের ২৪ ও রবিন উথাপ্পার ৭২! নিজের ইনিংসটি ৮ চার ও ২ ছয়ে ৪৮ বলে সাজিয়েছেন উথাপ্পা।

সাকিব যখন ব্যাটিংয়ে এলেন, ইনিংসের এক বলই বাকি। তাতে এক রান নিয়ে ফিরলেন অপরাজিত থেকে। ব্যাট হাতে সুযোগ না পাওয়ার ম্যাচে বল হাতে দারুণ কিছু করার প্রতিজ্ঞাই হয়তো করেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার। প্রথম ওভারেই তার হাতে বল তুলে দিয়ে গাম্ভীর তাতে সায়ই দিলেন। সাকিব একেবারে খারাপও করলেন না।

ওই ওভারে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের হাঁকানো ২ চার মিলিয়ে ৯ রান খরচ করেন সাকিব। সেটি আরো খরুচে হয়ে গেল ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। সাকিবের দ্বিতীয় ওভার সেটি। হন্তারক হয়ে এলেন অ্যারন ফিঞ্চ। দুই চার আর এক ছয়ে ১৪ রান নেন অজি ওপেনার।

সাকিব আবারো বল পান ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। ওই ওভারে এক চারে ৮ রান দেন। পরে অধিনায়ক আর বলই দেননি তাকে। সবমিলিয়ে ৩ ওভারে ৩১ রান খরচায় উইকেটশূন্য।

অবশ্য কলকাতার আরেক ভরসা নারিন ছিলেন আরো খরুচে। ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য এই ক্যারিবিয়ান। এদিন দলে ঢোকা নাথান কোল্টার নাইল ২ উইকেট পেলেও ৩.২ ওভারে ৪১ রান ঢেলেছেন। আরেক বিদেশি ক্রিস ওকস ২ ওভারে ২০ দিয়েছেন।

বোলিংয়ে ধুঁকতে থাকার মাশুল দিয়ে শীর্ষে ওভার সুযোগ হাতছাড়া কেকেআরের। ৬ ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই থাকতে হচ্ছে। অন্যদিকে মাত্র দ্বিতীয় জয় তুলে নেওয়া গুজরাট সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে।

দ্বিতীয় জয়ের রাতে বড় ভূমিকা অধিনায়ক সুরেশ রায়নার। ৮ চার ও ৪ ছয়ে ৪৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা এই বাঁহাতি। ফিঞ্চ ৩১ ও ম্যাককুলাম ফিরেছেন ৩৩ রানে।

0 Comment "ফেরাটা সাকিবের মত হোল না"

Post a Comment